শুক্রবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৮

আসিফা ~ অনির্বান মাইতি

আজকে সকালে ফেসবুক খুলতেই দেখি আবারো এক ধর্ষণ। সত্যিই বিরক্তি নিয়ে বন্ধ করে দিচ্ছিলাম একটি স্টেটাসে চোখ গেল। গীতাকে নিয়ে বামপন্থীরা কিছু বলছে না সেই নিয়ে সেখানে দরবার বসেছে।
একটা পরিষ্কার কথা আবারো বলি আসিফার ঘটনা স্বতন্ত্র কয়েকটি কারণে।
১) একজন এম এল এ এবং একজন আই পি এস অভিযুক্ত ধর্ষক হিসেবে
২) ধর্ষণে অভিযুক্তদের বাঁচাতে ক্ষমতাশীল রাজনৈতিক দল থেকে মিছিল করা হয়।
৩) জাতীয় পতাকা কে ধর্ষকের স্বপক্ষে ব্যবহার করা হয়।
৪) আসিফার প্রতি অসম্মানসূচক পোস্টে ভরে গিয়েছিল ফেসবুক তার অধিকাংশই ক্ষমতাশীল রাজনৈতিক গোষ্ঠীর লোকেরা করেছিল।
৫)অভূতপূর্ব ভাবে গোটা বার এসোসিয়েশন আসিফার উকিলের বিরুদ্ধে গিয়ে তাকে কোনঠাসা করে। বার এসোসিয়েশন বিজেপি পরিচালিত।
৬) তদন্তকারী অফিসারকে হিন্দুত্ববাদীরা ক্রমাগত চাপ দিয়েছে তদন্ত না করতে।
বামপন্থীরা আসিফার ঘটনাটিকে রাজনৈতিক বানায় নি, উপরিউক্ত ঘটনাগুলিই কি যথেষ্ট না কোন ঘটনায় রাজনৈতিক রঙ চড়াতে? তাই আসিফার ঘটনা শুধু বামপন্থী কেন হবে আপামর ভারতবাসীকে কাঁপিয়ে দিয়েছে।
এবার আসি গীতার কথায়, গীতা মাদ্রাসার ভিতরে নিগৃহীত হওয়ায় হিন্দুকুল কিন্তু আসলে রাজনৈতিক অক্সিজেন পেয়েছেন। গীতার ধর্ষকের জন্য কেউ মিছিল করে নি, কোন ধর্ম তার পাশে দাঁড়ায় নি, কেউ তাকে বাঁচাতে চায় নি, তবে গীতার ঘটনা আর আসিফার ঘটনায় মানুষের প্রতিক্রিয়া এক হবে কি করে? গীতার ধর্ষক সমাজের গণ্যমান্য নন যে তাকে শাস্তি দিতে গোটা দেশকে পথে নামতে হবে, শাস্তি তার হবেই সেটাই কাম্য। যে ঘৃণ্য অপরাধ এরা সকলেই করে চলেছে অবিরত তার শাস্তি চাই।
দয়া করে ব্যালেন্সের খেলা খেলবেন না। মনে রাখবেন দুর্জন শত্রু কখনো চোখে আঙুল দিয়ে ভুল দেখিয়ে দিলে পরিষ্কার বুঝে নেবেন ওটা ফাঁদ, ওদিকে যাবেন না। আর যদি একান্তই খেলেনই তবে ভারতীয় পরিসংখ্যান বলছে কাল গোটা দিনে প্রায় নব্বই টি শিশুর যৌন নিগ্রহ হয়েছে এই দেশে। তাদের সকলের নাম এবং ধর্ম খুঁজে এনে ধর্ম, ধর্ম আর রেপ প্রতিবাদ, রেপ প্রতিবাদ খেলুন, ব্যাপারটা অথেনটিক হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন