শনিবার, ১ জুন, ২০১৯

প্রলাপ ~ সংকলন সরকার

আমার বঙ্গবাসী বংবিচিপির কচি ও ধাড়ি ভাই ও বোনেরা। আম্নেরা ভিন্ন ভিন্ন তেনোমূলী পৌরসভা ভিন্ন ভিন্ন তেনোমূল নেতা ও চ্যালা সমেত আত্মস্থ করিয়া লিলসাদা উন্নয়ন হইতে গেরুয়া কালারে (ইং) বিকাশের নিমিত্ত এবং আসন্ন বিধানসভা দখল করিবার আনন্দে পকপকাপক্‌ লাটখাইবার প্রাক্কালে আমার অভিনন্দন সহকারে শুভেচ্চা ও বালোবাসা জানিবেন। একদা তেনোমূলী মণিরুল ইস্লামের অধুনা গেরুয়াকরণের মধ্যদিয়াই আমার অনন্ত কমি মাকু ও সেকুগিরির বৃত্ত যে সম্পুন্ন হইয়াছে তাহাতে আমার আর একবিন্দুমাত্র সন্দেহ অবশিষ্ট নাই। একদা তেনোমূল অধুনা গেরুয়া চাড্ডি পরিহিত মণিরুল ইস্লাম ও তাহার পদানুসরণকারী জোড়া ফুল হইতে বড়ফুলে আসা নেতা নেতৃবৃন্দ এবং তাহারদিগের ক্যাডার (ইং) বাহিনীগণ  আমার আপনার মতন প্রতিদিন রামসেবা করেন কিনা তা জানা না থাকিলেও, আমি জানি তিনি আমার আম্নার মতন গোসেবা অবশ্যই করেন। কিন্তু শুকরসেবা করেন কিনা তাহা জানা নাই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আমি 'উইকডেজ' (ইং) জুড়িয়া মুকপোড়া হনুমানের মতন প্রতি সান্ধ্যাহ্নিকে রামসেবারত অবস্থায় যতই ছোলা বাদাম খাই না কেন 'উইকেন্ডের' (ইং) রামসেবা মূলক সান্ধ্যাহ্নিকে সুযোগ মিলিলে সাধারণত ছোলা বাদ দিয়া ছাগসেবা গোসেবা এবং শুকরসেবা করিয়া থাকি, না, কুক্কুট বা মুরগীসেবা করিনা তাহা ব্যাঙ্গার্থে রামপাখি বলিয়া পরিচিত বলিয়া। (এ বিষয়ে আমার এতটাই গুমোর এবং এতটাই ভক্তি, যে রামচন্দ্রের পক্ষীরূপ বিশেষত মুরগীরূপ সবিশেষ অপছন্দের বটে। আশাকরি এ পার্সোনাল (ইং) গর্ব স্নেহান্ধে মার্জনীয় হইবে)। যাহা হউক বাজেকথা মাত্রই অশিষ্ট 'শিট' (ইং), তাহা বর্জন বা ত্যাগ করা উচিত, আশাকরি নিজগুণে আম্নারা আমার যাবতীয় বর্জ্যকথা ত্যাগ করিয়া এড়াইয়া চলিবেন। রামসেবক মণিরুল ঝ্যায়রাম ধ্বনি তুলিয়া গোসেবা করিতে করিতে মন্দির যে ওইখানেই বানাইবেন তাহাতে আপনারদিগের কিছুমাত্র সন্দেহ হয় কী? আমার তো হয় না! আসলে আমি এক ছদ্ম স্বদেশবাসী তথা অস্যার্থে আদত ভিনদেশী চীনা পাকিস্তানী বাংলাদেশী মাকু কমি সেকু এবং শিপিয়েম অর্থাৎ পরিণামে আজ ভোগের নুচি হইলেও অপ্রাসঙ্গিক নই। কারণ প্রসঙ্গ অবান্তর হইলেও আপামর কচি ও ধাড়ি ভাই ও বোনেদের মাঝে এ প্রসঙ্গ ঘন্টায় ৩৪ বার ফিরিয়া ফিরিয়া যখন আসে, অতয়েব ইহা আপাদমস্তক শিট (ইং) প্রসঙ্গ  হইলেও ২০১১ সনে তেনোমূল শিপিয়েম ক্যাডারগণ (ইং) ভোল বদলাইয়া শিপিয়েমের বি টিম (ইং) হইয়া আত্মপ্রকাশ করিয়াছিলো বলিয়া অবশ্যই প্রাসঙ্গিক। উক্ত সনে অত তেনো ক্যাডার (ইং) ভোটার (ইং) তো আর মঙ্গল গ্রহ হইতে খসিয়া পড়ে নাই। বিশেষ করিয়া উক্ত সনে বঙ্গ জুড়ে যখন ভোটিং মেশিনারি (ইং) শিপিয়েমেরই করতলগত ছিলো! পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে আদতে পিতৃহারা ব্যাকুল মানুষের ঢল আকুল হইয়া একজন মাটির মা অনুসন্ধান করিতে উদ্যত ছিল! সে করুক, পাইলেই হইল, মাটির মা না পাইলেও কোনো এক মায়ের মেয়ে তো পাইল। সে দিদি হউক পিসি হউক, মেয়েরা মায়ের জাত। আকুলতার ঘোর কাটিতে পাঁচ সাত বছর সময় লাগিলেও জানা গেল মা হইলে হয়ত সকলকে গ্রীষ্মের দুপুরে দাওয়ায় শোয়াইয়া তালপাতার হাতপাখায় হাওয়া করিতেন, দিদি বা পিসি বলিয়া হয়ত ওই তালপাখাটি উল্টাইয়া রণচণ্ডী মূর্তি ধরিয়া তাহার ডাঁটি ব্যবহারপূর্বক বেশিরভাগ মাটির মানুষকে ধমকাইতেছেন, চমকাইতেছেন মধ্যে মধ্যে দুই দশ ঘা কষিয়াও কিছুতেই ক্ষান্ত হইতেছেন না! এদিকে তাহার স্নেহের বারিধারা অর্থানুকুল্য রূপে ক্লাবে (ইং) স্কুলে (ইং) সিন্ডিকেটে (ইং) ও বিভিন্ন অচলায়তনে খেয়ালখুশী মতন বহিয়া চলিতেছে, অথচ সচলায়তনে উচ্চবাচ্চ নাই দেখিয়া প্রতিদিন শত সহস্র সচল শকট বহনকারী মাঝেরহাট ব্রিজটি (ইং) লজ্জায় অপমানে অভিমানে মুহ্যমান মায়ের স্নেহের শোকে পাথর হইয়া মানুষ সহ মাটির উপর ব্রেকডাউন (ইং) করিল। এক্ষণে সেই মুকুল বাবুর হাতে তৈরি তেনোমূলের বি টিম (ইং) যদি বংবিচিপি হয় তাহাতে মাকু তেনো চাড্ডি বৃত্ত সম্পুর্ণ করে আদতে শিপিয়েমেরই নৈতিক জয় হইয়াছে বলিয়া অবশ্য প্রত্যয় হয়। ইহার দু'টি কারণ, ১) মার্ক্স বলিয়াছিলেন তেনো মণিরুল যদি গেরুয়া চাড্ডি হইতে পারে তাহা হইলে গর্বিত বংহেঁদুরা সর্বহারা হইবেই। ২) এখনো অবধি ভোটাধিকার প্রাপ্ত সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ক বংভোটার বাম জমানায় জন্মাইয়াছেন। বাংলার উনি বলিয়াছেন বামেদের জমানায় জন্ম গ্রহণ করা অত্যন্ত খারাপ বিষয়। ফুল (ইং ??!) জমানায় জন্ম গ্রহণ করা নিপাতনে সিদ্ধ শুদ্ধ বেচারি ভোটারগণ সুদূর ২০২৯ সন হইতে ভোটাধিকার পাইবেন। কিন্তু তদ্দিন কী আর...?? যাউজ্ঞা! 

(বোঁদে খাইয়া পেট গরম হইয়াছে দিবা দ্বিপ্রহরে একা একা আড়াইশো বোঁদে খাওয়া আমার উচিত হয় নাই...  এই প্রলাপ ইত্যাদি দয়া করিয়া আপনারা সর্ব প্রকার শিট (ইং) জ্ঞানে ত্যাগ করিবেন। ধন্যবাদ।)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন