বুধবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৩

পাহাড়ে অট্টহাস্য ~ কৌশিক সেনগুপ্ত


ছটফট কোরো নাকো
হয়ে থাকো শান্ত,
সব ই তো গট আপ কেস
দুজনেই জানতো।

গোর্খা রাজ্য চাই
না বলিলে হায়,
পাহাড়ের সম্রাট
মাটিতে লুটায়।

না করিলে মাঝে মাঝে
এই ফোঁস ফোঁস,
ফসকাবে হাত থেকে
পাওয়া রাজকোষ।

হাসি মুখে হবে
এই ঝগড়ার ইতি ,
উৎসবে শেষদিনে
রবীন্দ্রগীতি!

শুক্রবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৩

প্রজাতন্ত্র ~ অমিতাভ প্রামাণিক

এক পেল্লায়
খাটে ঘুম যায়
রাজা। দুধ-ক্ষীর
খেয়ে রাত্তির
বেলা। আই ঢাই
সে শরীরটায়!
যত জনগণ
করে অনশন,
সব বর্বর!
করে গড়বড়
মহারাজদার
সেই স্ফীতাকার
বৃহদন্ত্র।
প্রজাতন্ত্র!

ওরা ফিসফিস
করে নির্বিষ
ভাবে দু'কথার
ঝাঁপি খোলে। তার
কোন অর্থই
নেই, নেই থৈ –
কেন তারা আজ
এই মহারাজ-
টাকে বসালো
এই শাঁসালো
পুরু গদিতে।
দুধ ও দধিতে
তিনি হয়েছেন
ফুলে জয়ঢাক।
আর নির্বাক
জনতার মুখ
যদি ভুলচুক
বলে, কেয়া বাত,
তবে নির্ঘাৎ
ষড়যন্ত্র।
প্রজাতন্ত্র!

রাজা, শুনছেন
এ কালির পেন
যার নেই নিব,
শুধু আলজিভ
শুখা তৃষ্ণায়,
কোন বিষ নাই,
সেও ক্লান্ত,
উদ্‌ভ্রান্ত।
এর আওয়াজে
বাজনা বাজে
তা কি পায় টের
তব কর্ণের
বোঁজা রন্ধ্র?
রাজা, শোন না
গত বন্যায়
আমি নিঃশেষ,
তুই দেখি বেশ
প্রাণবন্ত!
কবে আমাদের
পাতে হবে ফের
দুটো ডালভাত,
আর ঠুঁটো হাত
খুঁজে পাবে কাজ,
শোনা মহারাজ,
পতাকাতলায়
নীচে সে আশায়
ভেজা মন্ত্র।
প্রজাতন্ত্র!

বৃহস্পতিবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৩

মাঝদুপুরের আলাপ ~ অনামিকা

মাঝদুপুরে হুটার দেগে জাগিয়ে দি্লাম পাড়া
মন্ত্রী পিছে সান্ত্রী আগে, সাইডে সরে দাঁড়া।

সাইডেই তো দাঁড়িয়ে বাবা ... অধিক সরে গেলে 
নর্দমাতে পড়ব, তোদের বেমক্কা আক্কেলে।

পতন মানে ভাগ্য সে'টা পারিস যদি চিনতে
ঘাসফুলেরা জ্বলছে কেমন ত্রিশূল ফলার বৃন্তে।

ঘাসফুলেরা জ্বলছে জ্বলুক, কিন্তু মাঝে মধ্যে
অনাহারের অন্ধকারে তপ্ত ভাতের রোদ দে!

এইটি তোদের বদ অভ্যেস এই যে খিদে বেজায়।
খাবার খুঁজিস! খেয়াল করিস মাঝদুপুরে কে যায়? 

তুই যাচ্ছিস পাচ্ছি মালুম, জয়ধ্বনির চোটে
ভাবছি বসে তোকেই কেন জিতিয়েছিলাম ভোটে

হাটের মাঝে পাগলু নাচন। দু'লাখ টাকা ক্লাবকে।
কিচ্ছুটি কি দিই নি তোদের? বুঝিয়ে দেব চাবকে।

তা ঠিক তা ঠিক, কিন্তু সাথে প্রাপ্য অতিরিক্ত
চাকরি দিবি শিল্প দিবি এই কথাটাও ঠিক তো?

তাও দিয়েছি। খুন জখমের শিল্প প্ররোচনা 
নীল সাদাতে রক্ত মাখিস নতুন মারাদোনা।

সোমবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১৩

বাংলার ভাগ্যাকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা ~ অনামিকা মিত্র

বাংলার ভাগ্যাকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা
পাঁড় সিপিএম তোরা এই সব রটাচ্ছিস? রটা ...
কি বা যায় আসে?

ইস্ট জর্জিয়ার সেই সুবিখ্যাত পিএইচডি সকাশে
পণতন্ত্র ঝাপসা হয়ে ঠিক মিশে যাবে,
যে রকম ভাবে
মরীচিকা মিশে যায় দিগন্ত মরুতে
জল খাবে একই সাথে বাঘে ও গরুতে
আমাদের ঘাটে

মাধ্যমিক পাশ নয়, প্রবল বখাটে
এমন কাউকে পেলে কলেজের পরিচালনার
ভার দেব। 
সুনন্দ কৌশিকের চেঁচানোই সার 
এই কথা জেনে তবু ওরা 
টিভিতে চেঁচায় খুব... ভুল হয়ে গেছে ... বড় ভুল ...
বাংলার ভাগ্যাকাশে আরাবুল ... শুধু আরাবুল ...

এ আমার গেমপ্ল্যান 
এলোমেলো করে দাও সব
মিথ্যাচারে ভরা উৎসব
টাটা গেছে, আহা যদি অন্তত ইনফোসিসও হত
ঢেকে দিতে সেই সব ক্ষত 
অশোকেরও চেয়ে বেশি শিলালিপি পোঁতো

একশ' দিনের টাকা ঝেড়ে দাও যতখানি পারো
বলাতো যায় না কবে ব্যাকফুটে যাব যে আবারও
অতএব মাঠে থাকো বাংলার দামাল ছেলেরা
আমার মিটিং শেষ। 
ভেবো না এখনই বাড়ি ফেরা

জমানা পালটে গেছে। প্রতিদিন তাই
চায়ের দোকান করো সিডি বেচো 
না পারলে করো ছিনতাই
চাকরির গল্পগাছা ভুলে যাও। এটা রিয়্যালিটি!
আমার এক্সচেঞ্জ আর পাঠাবে না চাকরির চিঠি

আসল অ্যাজেন্ডা হল বন্ধুগণ আখের গোছাও
সময় বড়ই কম... সবই ভান ... যেদিকেই চাও
মনোমোহনকে আর কত ভাবে করি ব্ল্যাকমেল
দামাল ছেলেরা হও বেপরোয়া ... 
হোক ফাঁসি ... জেল ...

অভিনয়ে বিমোহিত... একদিন ফিরবেই হুঁশ ...
পশ্চাতে কষাবে লাথি বাংলার মা মাটি মানুষ
সকাল সন্ধ্যা আমি চিন্তায় আকুল
কী ভাবে মুনাফা দেবে আমাদের প্রিয় তৃণমূল 
বাংলার ভাগ্যাকাশে আরও আরাবুল চাই ... 
আয় আরাবুল!