রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০১১

অতি সংক্ষিপ্ত সংবাদ ও স্বাধিনতা


প্রাসাদ গাত্রে মুতিব, ভাঙিব আইন
ফরসা ধুতির গাড়ি দেখিলে, সমুখে পাতিব দুপিস মাইন
নকু বলিয়া সকলে মিলিয়া, দিদির পিছনে মারিব লাইন
প্রণামান্তে 
- আকাশ গাইন
- বাতাস বাইন
স্বাধিনতা দিবসের প্রাক্কালে ঠিক সন্ধে সাতটা বেজে চুয়ান্ন মিনিটে এই মর্মে শেষ ইস্তেহারটি লেখা হয়ে  গেল। ভাঙাভাঙি ভাগাভাগির খেলা সেই ১৯৭২ সাল থেকে চলছিল, আপাতত খেলা শেষের বাঁশি বেজে গেছে। কংকাল বাবুদের মহান নেতা জেলে গেছেন, তাত্ত্বিক নাড়ুদাকে লাইবাড়িতে ফাঁসানোটা শুধুই সময়ের অপেক্ষা এখন। বাকিরা নাটক লিখবেন অথবা রিটায়ার করবেন। তাই সামনে মেকি বিপ্লবের ধ্বজাধারিরা হাওয়া হাওয়া, তাই আজ খুশির দিন কারণ বিপ্লব এবারে হবেই, আজ নাহোক কাল, বিপ্লবের মূল শত্রু  খতম, খতমের তালিকা প্রকাশের ইতি হোল অবশেষে। এই আনন্দঘণ পরিবেশে একটু রবীন্দ্রসঙ্গীত তারস্বরে পাড়ার মোড়ে  বাজানো হোক। মানে বাজাতে হবে। মানে ওটাই আজকের আইন। যেখানে রবীন্দ্রসঙ্গীত বাজবে, সে  জায়গাতে  সাধারন মানুষ থাকেন, যেখানে রবীন্দ্রসঙ্গীত তারস্বরে বাজছে না, সেখানেই কংকাল অথবা অস্ত্র পাওয়ার সম্ভাবনা। 
ইতিমধ্যে ভারতের রাষ্ট্রের ঋণের বোঝা কমে গেছে। এত অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে এই কয়েক  মাসে যে সামনের দশ বছরে আর নতুন অস্ত্রের বরাত  দিতে হবে না কাউকে, তা নিয়ে ঘ্যাম  চাচা একটু ক্ষার খেয়ছে    যদিও শত্তুরের বিনাশে তিনিও খুশি। ঘ্যাম চাচাকে আনবিক চুক্তি দিয়ে ঠান্ডা করা গেছে, আর ইস খুসি মে দিদিও নেমন্তন্ন পেয়েছেন। শুধু জানা যায়নি দিদি জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবেন কিনা। খবরে প্রকাশ,  হনু সিং ঘ্যাম চাচা কে বরাত দিয়েছে ওদেশে জর্জিয়া নামক এক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে, যারা দিদিকে অনারারি ডাক্তারএর শংসাপত্র প্রদান করবে। তাই নিয়ে ঘ্যামচাচার দেশে বিতর্ক শুরু হয়েছে, এই কাজটা কোন দেশকে আউটসোর্স করা যায়। 
এদিকে বন্যার তোড়ে ঘর বাড়ি ভেসে গিয়ে, বাপ মা ভাই বোন হারিয়ে ন্যাংটা ছেলেটা স্বাধিনতা দিবসের সকালে  গান ধরেছেঃ
দিদিমনি যায়
লাল সুতো
নীল সুতো
হলুদ সুতো
সবুজ সুতো 
নেই  তার গায়ে
আসলে হয়ত ন্যাংটা ছেলের ন্যাংটাকে ন্যাংটা বলতে ভয় করে না। 
পাগলু ড্যান্স! 
   

২টি মন্তব্য: